আল্লামা শফির কিছু ভূল এবং দুর্মখোদের প্রপাগান্ডা
লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ১৩ জুলাই, ২০১৩, ০৯:৩৫:১৭ রাত
আল্লামা শফি দেশের আলেম সমাজের শিরমনি। উনাকে আজ থেকে এক বছর পূর্বেও আলেম সমাজ ছাড়া সাধারণ মানুষ তাকে চিনতো না। হেফাজতে ইসলামের আর্ভিভাবের সাথে উনার পরিচিতিও সবার সামনে আসে। উনি রাতারাতি সেলিব্রিটি হয়ে যান। কারো কাছে উনি হিরো আবার কারো কাছে ভিলেন হন। বর্তমানে উনার প্রতিটি কথা এখন প্রমাণ হিসাবে গ্রহণ করা হয়। উনার খুবই সর্তকতার সহিত কথা বলা উচিৎ। হেফাজতকে বির্তকিত করার জন্য নাস্তিক বাম রাম ও সরকার পক্ষ এখন সূত্রই খুঁজছে। একটি সংগঠন সাধারণ মানুষের জনপ্রিয় হওয়া বড় কথা নয় সেটি রক্ষা করাও নীতি নির্ধারকদের কর্তব্য।এলোমলো কথা বলে সংগঠনকে বির্তকিত করার কোন প্রয়োজন নাই। ইসলামে নারীকে দ্বীনি শিক্ষা ছাড়া পার্থিব শিক্ষা নেয়ার বা দেয়া বাধা নিষেধ নাই। একজন নারী যদি ডাক্তার না হন নারীদের একান্ত চিকিৎসা গুলো কে বরবে? একজন নারীকে ডাক্তার হওয়া ইঞ্জিনিয়ার হওয়া শিক্ষিকা হওয়া, ব্যাংকার হওয়া ব্যবসায়ী হওয়া ইসলামেতো নিষেধ নাই।
আমরা অগ্রগতিশীল দেশে বাস করছি। এদেশ উন্নতির দিকে এগুচ্ছে। আমরা যে দেশে বাস করছি সে দেশের উন্নতি উন্নয়নের কথা ভাবতে হবে। সে ক্ষেত্রে নারীদের ক্লাস ফোর ফাইভ পর্যন্ত লেখা পড়া করার পরামর্শ দেয়া অবান্তর। বরং নারীদের লেখা পড়া এগুনোর উপদেশ উচিত তবে তা হতে হবে পর্দা মাধ্যমে। পর্দার অর্থতো ঘরে থাকা নয়। গার্মেন্টেসে নারীরা জেনা করে এথা সত্য নয়। আল্লামা শফি যদি তাদেরকে পর্দা মাধ্যমে কর্মে যাওয়ার পরামর্শ দিতেন তাহলে সুন্দর হত বির্তক হত না। আমি আল্লামা শফির নারীকে তেতুলের সাথে তলনা করা খুব বড় করে দেখিনা। খোলামেলা পরিবেশে নারীরা কর্মে গেলে জেনা হওয়া ও অপকর্ম হওয়ার সম্ভবনা বেশি। সেটি বুঝাইতে গিয়ে নারীকে তেতুলের সাথে উপমা দেয়াতে মহাগ্রন্থ অশুদ্ধ হইনি। এটাকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষে প্রধান মন্ত্রীর উনাকে খোঁচা মরা এবং নারী সংগঠন গুলোকে দাওয়াত দেয়া এবং উসকে দেয়ার কারণ খুঁজে পাইনা । আর যে সকল সুশীল সমাজের নেতার আল্লামা শফির উপমাকে কুরুচিপূর্ণ বলে আখ্যা দিতেছেন, আমরা তাদেরকে চিনি, তাদের জীবনিতিহাস জানি, উনারা সবাই বহুগামি অনেক নারীর সঙ্গলাভী।
বিষয়: বিবিধ
৯৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন